insaflimited

রিইনফোর্সমেন্ট (R.C.C) ঢালাই কাজের পূর্ব প্রস্তুতি

রিইনফোর্সমেন্ট (R.C.C) ঢালাই কাজের পূর্ব প্রস্তুতি কেমন হওয়া দরকার?

রিইনফোর্সমেন্ট (R.C.C) ঢালাই কাজের পূর্ব প্রস্তুতিঃ

বাড়ি তৈরির কাজে লক্ষ্যনীয় বিষয়ঃ বাড়ি তৈরির কাজে রিইনফোর্সমেন্ট (R.C.C) সম্পর্কে অধিকাংশ লোকেরই ধারনা আছে। তবে এই রিইনফোর্সমেন্ট কাজের গুরুত্ব দিক সম্পর্কে কয় জনে জানি বা খবর রাখি? অসচেতনার দরুণ ঘটে যেতে পারে অকল্পনীয় দুর্ঘটনা যার দ্বারা হয়ে যেতে পারে অসংখ্য লোকের প্রাণহানী এবং হতে পারে প্রচুর অর্থের অপচয়। আর সে কারনে আর.সি.সি (R.C.C) কাজে যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন তা নিচে তুলে ধরা হল-

সাটারিং বা ফর্মওয়ার্ক চেক করতে হবেঃ

  • সাটারিং এর সাপোর্ট ঠিক মত দেওয়া আছে কিনা এবং ঢালাই চলাকালিন সময় তা নড়ে বা ভেঙ্গে না যায়।
  • কাঠের হলে ভেতরের দিকের তলা সমান বা স্মুথ আছে কিনা দেখতে হবে।
  • কাঠের সাটার হলে জয়েন্টে পাতলা টিনের ফিতা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। এই পাতলা টিনের ফিতাকে লোকাল ভাষায় ময়ূরী বা রূব্বন সিট বলে।
  • স্টিলের শাটারের জয়েন্টের মাঝে ফোম বা জুট টেপ দিতে হবে।
  • সাটারিং এর এলাইনমেন্ট যথাযথ আছে কিনা তা চেক করতে হবে।
  • সাটারিং এর মালামাল পরিষ্কার করা হয়েছে কিনা তা চেক করতে হবে।
  • স্টিলের সাটারিং হলে এর তলায় তেলের ব্যবহার করা হয়েছে কিনা।
  • কাজ চলাকালিন সাটারিং নড়ে বা ভেঙ্গে না যায় সে জন্য কাজের পূর্বে সাটারিং এর সাপোর্ট ঠিক মত আছে কিনা ভালভাবে চেক করে করতে হবে।
  • সাটারিং এ কোন প্রকার ছিদ্র আছে কিনা তা চেক করতে হবে।
  • ঢালাই চলাকালীন সময়ে নিচে থেকে অবিরত সেন্টারিং চেক করতে হবে।

আর সি সি কাজ চেক করতে হবে

  • রডে কোন প্রকার মরিচা বা ক্রাক থাকা যাবে না।
  • রড়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব বা তিনটি গ্যাপের মাপ নিয়ে চেক করতে হবে।
  • ডিজাইন অনুসারে রড় বিছানো হয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
  • রড়ের পুরুত্ব বা ডায়া ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।
  • এক রড হতে আরেক রডের দূরত্ব কমপক্ষে 1″ হতে হবে।
  • মেইন রডের সেপারেটর বার ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা দেখেতে হবে।
  • বীমের রডে হুক বা মাটাম দেওয়া হয়েছে কিনা তা চেক করতে হবে।
  • রডের ল্যাপ লেংথ ঠিক মত দেওয়া হয়েছে কিনা তা চেক করতে হবে।
  • প্রতিটা পয়েন্টে G.I. তারের বাধন দেওয়া হয়েছে কিনা চেক করতে হবে।
  • রডের লে-আউট সোজা ভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।

ঢালাই কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসমুহ

  • মিক্সার মেশিন, বাইব্রেটর মেশিন + নজল, মেজারমেন্ট বক্স, সিলিন্ডার বক্স (8×4″), Slump cone, Water pump, খাবার যোগ্য পানি।

ঢালাই কাজের পূর্বে যে সকল যন্ত্রপাতিগুলো চেক করতে হবেঃ

  • সকল মালামাল ও যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত পরিমান মজুত আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় সংখ্যক লেবার ও মিস্ত্রি মজুত আছে কিনা সে বিষয়ে নজর দিতে হবে।
  • ভাইব্রেটরের অপারেটর উপস্থিতি এবং মিক্সার ও ভাইব্রেটর মেশিন সচল আছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে।
  • মেশিনের তেল, মবিল পর্যাপ্ত পরিমান আছে কিনা তা চেক করতে হবে।
  • যদি রাতে কাজ করতে হয় তাহলে পর্যাপ্ত পরিমান আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • কনসিল কোন পাইপ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা দেওয়া আছে কিনা দেখে হবে।
  • ইলেকট্রিক কাজে পাইপের ব্যবহার ছাড়া পড়েছে কিনা তার প্রতি দৃষ্টি নিতে হবে।
  • সকল প্রকার ধুলা-বালু, ময়লা ও আবর্জনা পরিস্কার করে নিতে হবে।
  • সকল প্রকার কাজের রিপিয়ার মিস্ত্রি রয়েছে কিনা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি সু-দৃষ্টি রাখতে হবে।

ঢালাই চলাকালীন করনীয়ঃ

  • ল্যাবে কংক্রিটের কার্যোপযোগিতা পরীক্ষার জন্য তিনটি সিলিন্ডার ভরতে হবে।
  • ঢালাই চলাকালিন সময়ে সাটারিং ও ব্লগ চেক করার জন্য দুইজন মিস্ত্রি প্রস্তুত রাখতে হবে।
  • কংক্রিট ঢালাই এর মসলা ৫ ফুটের উপর থেকে ফেলা যাবে না।
  • যথাযথ ভাবে ভাইব্রেটর করতে হবে।
  • কংক্রিট এর লেভেল এবং সারফেসের ফিনিশিং সমান্তরাল হতে হবে।

ঢালাই এর পরবর্তী লক্ষণীয় এবং করণীয়ঃ

  • নির্দীষ্ট সময় পর্যন্ত কিউরিং করতে হবে।
  • নির্ধারিত সময়ের পূর্বে সাটার খোলা যাবে না ।
  • সাটার খোলার সময় নিয়ম মাফিক খুলতে হবে।
  • কংক্রিট সার্ফেসের ফিনিশিং ভাল হতে হবে।
  • সিলিন্ডার টেস্টের রিপোর্ট যথোপযুক্ত না আসলে স্ট্রাকচার ভেঙ্গে নতুন করে করতে হবে।

বিঃ দ্রঃ ঢালাই এর পরের দিন বা কয়েক ঘন্টা পরে সিমেন্ট গ্রাউটিং এর পানি পুরা সারফেসের উপর ছিটিয়ে দিয়ে ছালার বস্তা দিয়ে টেনে দিতে হবে এতে ঢালাই ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।

উপরের পোস্ট পড়ে আশাকরি আপনি সঠিক গাইডলাইন পাবেন। যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তা হলে যোগাযোগ আমাদের সাথে ইনসাফ বিল্ডিং ডিজাইন কনসালটেন্ট লিমিটেড সবসময় আপনার পাশে আপনার স্বপ্ন বিনির্মাণে। সবশেষে “সঠিক নিয়মে করি ভবন নির্মাণ পরিকল্পিত নগরায়নে রাখি অবধান”

রিইনফোর্সমেন্ট (R.C.C) ঢালাই কাজের পূর্ব প্রস্তুতি কেমন হওয়া দরকার? Read More »

বাড়ি নির্মাণ করার পূর্বে করণীয়

বাড়ি নির্মাণ করার পূর্বে করণীয়

বাড়ি নির্মাণ করার পূর্বে করণীয়ঃ

বাড়ি নির্মাণ করার পূর্বে করণীয়ঃ বাসস্থান আমাদের তৃতীয় মৌলিক চাহিদা। নিজের এক খন্ড জমিতে সবাই চায় নিজের মতো করে সুন্দর একটি বাড়ি নির্মাণ করতে। তবে মাঝে মাঝে আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তহীনতার জন্য অনভিজ্ঞ মানুষের কথা অনুসরণ করে ইমারত তৈরী করি। যার কারনে বাড়ি তৈরীর পরবর্তীতে দেখা যায় বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টার বা ওয়ালে ফাটল ধরা, মেঝে উঁচু-নিচু হয়ে যাওয়া। এই করনে বাড়িটি তার সৌন্দর্য হারিয়ে কিম্ভুত কিমাকার রূপ ধারন করে। আর এই বিল্ডিং তৈরিতে ব্যয় করতে হয় অতিরিক অর্থ ও সময়। তাই আমাদের মনে রাখা উচিত- সঠিক কাজ, সঠিক মানুষ দারা পরিচালনা।

নতুন বিল্ডিং বা কাঠামো নির্মাণ করার ক্ষেত্রে করণীয়

১) যে কোন বিল্ডিং-এর নকশা তৈরি করার পূর্বেই স্ট্রাকচারাল নকশার বিধিগুলোর অনুসরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সঠিক স্ট্রাকচারাল নকশা না হলে ভূমিকম্প প্রতিরোধক বিল্ডিং হবে না।

২) বিল্ডিং ডিজাইনের আগেই অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটির গুনাগুণ বিশ্লেষণ ও মাটির ধারণ ক্ষমতা নির্ভুলভাবে নির্ণয়পূর্বক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।

৩) বিল্ডিং নির্মাণের সময় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার) তদারকি রাখতে হবে যাতে গুণগত মান ঠিক থাকে।

৪) সঠিক অনুপাতে গুনগতমানের সিমেন্ট, রড, বালির ব্যবহার হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। কংক্রিটের চাপ বহন ক্ষমতা কোনো অবস্থাতেই ৩০০০ psi – এর নিচে নামানো যাবেনা। তার জন্য সার্বক্ষণিক ভাবে নির্মাণাধীন সাইটে দায়িত্বে নিয়োজিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে কিউব অথবা সিলিন্ডার টেস্ট করতে হবে। কংক্রিটের মিক্সাচারে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ঢালাইর পরে পানির ব্যবহার করে কংক্রিটের কিউরিং করতে হবে।

ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশন কাজ করার পূর্বে নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সামনে রাখতে হবেঃ

১) উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রড পরীক্ষাপুর্বক ব্যবহার করতে হবে। রডের বহন ক্ষমতা ৬০ হাজার psi -এর কাছাকাছি থাকতে হবে। স্ক্রাপ বা গার্বেজ থেকে প্রস্তুতকৃত রড ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

২) বিল্ডিং-এর প্ল্যান ও এলিডেশান দুই দিকই সামাজ্য থাকতে হবে।

৩) নির্ধারিত ডিজাইনের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফ্লোর নির্মাণ করবেন না। বিল্ডিং কোড অনুসারে এক্সপানশান ফাঁক রাখতে হবে।

৪) বেশি পরিমান সরু ও উঁচু বিল্ডিং- এর পাশ হঠাৎ করে কমাবেন না। যদি কমাতে হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক ডাইনামিক বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।

৫) বিল্ডিং-এর উচ্চতা যদি ভবনের প্রস্থের ৪ (চার) গুণের অধিক হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক ডাইমানশন বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।

৬) সেটব্যাক বা হঠাৎ করে বিল্ডিং-এর পাশের মাপঝোক কমানো যাবেনা। যদি কমাতেই হয় তাহলে ত্রিমাত্রিক বিশ্লেষণ করে সাইট অ্যাফেক্ট জেনে ডিজাইন করতে হবে।

৭) জটিল কাঠামোগত প্লানের জন্য অবশ্যই ত্রিমাত্রিক ভূমিকম্প বিশ্লেষণ করে ডিজাইন করতে হবে।

৮) শেয়ার ওয়াল বা কংক্রিটের দেয়াল সঠিক স্থানে বসিয়ে ভূমিকম্পরোধ শক্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

৯) সাম্প্রতিক সময়ে যে হারে বিম ছাড়া কলাম ও স্ল্যাব বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে, তা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হলেই ধ্বসে যাবে। সুতরাং বিম, কলাম ও স্ল্যাব বিশিষ্ট বিল্ডিং তৈরি করতে হবে।

১০) দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারকে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে বিল্ডিং- এর প্ল্যান/ ডিজাইন করে ভূমিকম্প রোধক বিল্ডিং নির্মাণ করতে হবে।

১১) নিচের তলা পার্কিং-এর জন্য খালি রাখতে হলে, ঐ তলার পিলারগুলো। বিশেষভাবে ডিজাইন করতে হবে। প্রয়োজনমতো কংক্রিটের দেওয়াল দিয়ে পিলারগুলোতে বেষ্টনীবদ্ধ করতে হবে।

(১২) বিল্ডিং-এর বিমের থেকে পিলারের শক্তি বেশি করে ডিজাইন করতে হবে। কমপক্ষে ২০% বেশি করতে হবে।

১৩) মাটির গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ফাউন্ডেশন প্রকৌশলগত ভাবে যাচাই বাছাই করে ডিজাইন করতে হবে।

১৪) ৫ ইঞ্চি ইটের দেয়ালগুলো ভূমিকম্পের জন্য আদৌ নিরাপদ নয়। তাই এই দেয়ালগুলো ছিদ্রযুক্ত ইটের ভিতরে চিকন রড দিয়ে আড়াআড়ি ও লম্বা লম্বি ভাবে তৈরি করে লিন্টেলের সাথে যুক্ত করে দিতে হবে। সবদিকে লিন্টেল দিতে হবে। বিশেষ করে দরজা বা জানালার খোলা জায়গায় চিকন রড দিয়ে ৫ ইঞ্চি ইটের দেয়াল যুক্ত করতে হবে।

১৫) মনে রাখতে হবে, নতুন বিল্ডিং নির্মাণে ভূমিকম্প-প্রতিরোধক নিয়মাবলি প্রয়োগ করলে, শুধুমাত্র ২-৩% নির্মাণ খরচ বৃদ্ধি পায়।

জেনে নেই বাড়ি তৈরীর পূর্ব কার্যক্রমের ধাপ গুলিঃ

১) ভালো স্থপতি দিয়ে বাড়ির প্লান করিয়ে নিন। মনে রাখবেন জমি যত ছোট হোক আর বাকা তেরা হোক। একজন ভালো স্থপতি এই সকল সমস্যার সমাধান দিতে পারবেন। জমির প্রতি অংশের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেন। এ ছাড়াও স্থপতিকে দিয়ে বাড়ির ফার্ণিচার প্লান ও ইনটেরিওর ডেকোরেশন প্লান করিয়ে নিতে পারেন।

২) প্লানিং করুন। পুরো বাড়ি একবারে করবেন নাকি দুই তলা করে পরে বাকি চার তলা করবেন। গ্যারেজ কার পার্কিং কয়টি রাখবেন। বাড়িটির অকুপেন্সি কেমন হবে আবাসিক হবে নাকি কমার্শিয়াল হবে, লিফট, জেনারেটর, সাব স্টেশনের প্রভিশন রাখবেন কি রাখবেন না, ছাদে বাগান হবে কিনা, আশে-পাশে ভবিষ্যতে কি রকমের ইমারত নির্মিত হতে পারে।

৩) প্রথমেই ফাইনান্স এর কথা ভাবুন। অর্থাৎ হাতে কত টাকা আছে পরে কোথা হতে আসবে তা নিশ্চিত করুন। এর জন্য দরকার প্রিলিমিনারী এস্টিমেশন। এর জন্য অভিজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাছে যান।

৪) সয়েল টেষ্ট করতে ভুলবেন না। হুট করে পাইলিং-এ যাবেন না। সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট নিয়ে অভিজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আলাপ করুন।

৫) বিল্ডিং-এর স্ট্যাকচারাল ডিজাইনের জন্য অভিজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাছে যান। ভূমিকম্প নিয়ে ইদানিং সবাই বেশি চিন্তিত। স্ট্যাকচারাল সিসমিক লোডের জন্য ডিজাইন করা যায়।

৬) প্লাম্বিং এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ডিজাইন অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা করে নিন। মনে রাখবেন বাড়ি তৈরির পর প্রাথমিক সমস্যা গুলো প্লাম্বিং এবং ইলেক্ট্রিক ওয়ারিং এ দেখা যায়। ফলে দেখা যায় ভাঙচুর করতে হচ্ছে বা প্রতিদিন একটি বিরক্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৭) ডিটেইল বিল অফ কোয়ান্টিটি বা বি ও কিউ তৈরী করুন এবং আপনার পূর্বের আনুমানিক ব্যায়ের সাথে তুলনা করুন। যদি ব্যয় বেড়ে যায় তবে ডিজাইন বা

প্লানে কিছু পরিবর্তন এনে ব্যয় কমাতে পারেন।

৮) কনস্ট্রাকশন-এ শুধু মাত্র কন্ট্রাকটরের উপর নির্ভরশীল না হয়ে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে ফুল টাইম অথবা পার্ট টাইম সুপারভিশনে রাখুন।

বিঃদ্রঃ মনে রাখবেন বাড়ি তৈরীর জন্য সঠিক প্লানিং আর ডিজাইন না করলে পরবর্তীতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই উপযুক্ত প্রফেশনালদের সাথে আলাপ করে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেবেন। এতে আপনি বিল্ডিং তৈরিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হতে রক্ষা পাবেন এবং নিরাপদ থাকবেন।

আলো-বাতাসের ব্যবস্থাঃ
  • আলো বাতাসের প্রবেশের জন্য কমপক্ষে নিচের মত খোলা দেয়াল থাকতে হবে।
  • গরম আবহাওয়াতে মেঝের দশ ভাগের এক ভাগ পরিমাণ ।
  • ভেজা গরম আবহাওয়াতে মেঝের ছয় ভাগের এক ভাগ ।
  • সাধারণ আবহাওয়াতে মেঝের আট ভাগের এক ভাগ।

আমরা আশাকরি আপনি যদি উল্লেখিত বিষয় সঠিক ভাবে মেনে বাড়ি নির্মাণ করেন তা হলে আপনি বিল্ডিং তৈরিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হতে রক্ষা পাবেন এবং নিরাপদ থাকবেন। বাড়ি নির্মাণের যেকোনো সমস্যার সমাধান নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। ইনসাফ বিল্ডিং ডিজাইন এন্ড কনসালটেন্ট লিমিটেড।

বাড়ি নির্মাণ করার পূর্বে করণীয় Read More »

মাটি পরীক্ষা

ভবন নির্মাণের পূর্বে মাটি পরীক্ষা করা কেন প্রয়োজনীয়? এতে কী কী ধরনের পরীক্ষা করা হয় এবং সয়েল টেস্ট করার দ্বারা আমার কি লাভ?

মাটি পরীক্ষাঃ

মাটি পরীক্ষাঃ আমাদের দেশের কিছু কিছু মানুষ মনে করেন মাটি পরীক্ষার দরকার নেই। পাশের ভবন গুলো মাটি পরীক্ষা ছাড়াই করা হয়েছে, কাজেই আমার অংশেও অসুবিধা হবেনা। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। মাটি পরীক্ষা করতে বেশী খরচ হয় না। ৩/৫ কাঠায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে এটি করা সম্ভব। মাটি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার বাড়ীর সঠিক ফাউন্ডেশন নির্ধারণ করবেন। এতে যে ফাউন্ডেশন হবে তার চেয়ে হয়তো আপনি না জেনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভারী ফাউন্ডেশন করে ফেলতে পারেন তাতে অপচয় হবে। প্রয়োজনের তুলনায় হালকা ফাউন্ডেশন করলে বাড়ীর নিরাপত্তা নষ্ট হবে।

রাজমিস্ত্রিদের ভ্রান্ত ধারনা অগ্রহনযোগ্যঃ

রাজমিস্ত্রিরা নির্দিষ্ট এলাকায় অনেকগুলো বাড়ি নির্মাণের সাথে জড়িত থাকেন বলে ঐ এলাকার মাটির প্রকৃতি সম্বন্ধে তাদের একটা ভাল ধারণা তৈরি হয় বলে তারা মনে করেন। তারা মন্তব্য করেন অমুক এলাকায় পাইলিং লাগে না আবার ধানমন্ডিতে অবশ্যই পাইলিং লাগবে ইত্যাদি। রাজমিস্ত্রির পরামর্শ মত অনেকেই ভাবেন সয়েল টেষ্ট করে অকারণে টাকা খরচ করার চেয়ে পাশের বাড়ির ফাউন্ডেশন যেভাবে হয়েছে নিজের বাড়িটি সেভাবেই করি। কিন্তু এটা খুবই ক্ষতিকর চিন্তা ভাবনা । কারণ মাটির নিচে কি আছে তা মাটি পরীক্ষা না করে আমরা কোন ভাবেই জানতে পারবো না ।

পাইলিং করতে হবে কিনাঃ

অনেক প্লটে পাইলিং দরকার নেই কিন্তু আশপাশের সবাই পাইলিং করেছে তাদের দেখা দেখি পাইলিং করে এতে প্রচুর টাকার অপচয় হতে পারে। তাই বাড়ি নির্মাণ কাজ করার পূর্বে অবশ্যই সয়েল টেষ্ট করাতে হবে। পাশের প্লটের মাটি ভাল হলেও আপনার প্লটের মাটি তেমনটি হবে, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। কেবলমাত্র নির্দিষ্ট প্লটের মাটি পরীক্ষা করেই বোঝা যাবে ঐ বাড়ীটিতে কোন ধরনের ফাউন্ডেশন ডিজাইন করা যাবে।

সাইট পরিদর্শনঃ

সয়েল টেষ্ট করার পূর্বে সাইট পরিদর্শন করা উচিৎ। এতে মাটির উপরি ভাগের অবস্থা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে এবং কিভাবে সয়েল টেষ্ট করা হবে ত নির্ধারণ করা যাবে। পাথুরে মাটি ফাউন্ডেশনের জন্য সবচাইতে ভাল। বালু এবং মুজি মাটি ফাউন্ডেশন সামগ্রী হিসেবে বেশ ভাল।

মাটি পরীক্ষার পূর্বে সাইটে গিয়ে যে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে হবেঃ

  • এলাকার ভৌগলিক অবস্থা
  • গর্ত আছে কিনা
  • মাটি কেটে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কিনা ।
  • ভূমি ধসের লক্ষণ আছে কিনা ।
  • আশপাশের পানির উচ্চতা (নদী কিংবা পুকুরের)।
  • পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি ।

মাটি পরীক্ষার উদ্দেশ্য

  • সঠিক ফাউন্ডেশন ডিজাইন।
  • বাড়ির স্ট্রাকচারাল ডিজাইন।
  • নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ।
  • বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
  • নির্মাণ পদ্ধতি নির্বাচন।

মাটি পরীক্ষার ধারা

  • সাইট/প্লট পরিদর্শন ও জরিপ করা।
  • ফিল্ডের অবস্থা অনুযায়ী বোরিং সংখ্যা ও স্থান নির্ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী বোরিং সম্পন্ন করা।
  • প্রয়োজন অনুযায়ী বোরিং গভীরতা নির্ণয় করা।
  • প্রত্যেক বোরিং গভীরতা নির্ণয় করা।
  • বোরিং বা ড্রিলিং এর সাহায্যে ৫ ফুট অন্তর মাটির এস.পি.টি (S.P.T) ভ্যালু নির্ণয় করা এবং মাটির নিরাপদ ভারবহন ক্ষমতা (সেফ বেয়ারিং ক্যাপাসিটি) বের করা।
  • ফিল্ড টেষ্ট এবং ল্যাব টেষ্টের ফলাফল বের করা।
  • মাটি পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী বাড়ির ফাউন্ডেশন সম্পর্কে মন্তব্য করা।

মাটি পরীক্ষা করার কৌশলঃ

যে কোন ধরনের মাটিতেই ওয়াশ বোরিং পদ্ধতিতে সয়েল টেষ্ট করা যায়। প্রথমে মাটিতে একটি কেসিং লাগানো হয়। এরপর এই কেসিং এর ভেতরে ফাঁপা ড্রিল রড (যার মাথায় ধারালো মাটি কাটার বিট লাগানো থাকে) প্রবেশ করানো হয়। ফাঁকা ড্রিল রডের ভেতর দিয়ে পানি প্রবেশ করানো হয় এবং এটাকে ক্রমাগত উঠানো ও নামানো হয় এবং ঘোরানো হয়। পানির তোড়ে ও ঘোরানোর ফলে ভেতরের মাটি নরম হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পানির সাথে মিশে উপরে উঠে আসে। এভাবে আস্তে আস্তে নিচের দিকে যাওয়া হয় এবং নির্ধারিত দূরত্ব পরপর মাটির স্যাম্বল নেওয়া হয়। সাধারণত প্রতি কাঠার জন্য একটি করে বোরিং করা হয়।

মাটি পরীক্ষা করার কৌশল

মাটির নমুনা দুই ধরনের

আলোড়িত মাটি (Disturbed sample): আলোড়িত মাটি যে মাটির স্বাভাবিক গঠন আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে বদলে গেছে ও নষ্ট হয়ে গেছে ।

অনালোড়িত মাটি (undisturbed sample): যে মাটির স্বাভাবিক গঠন এবং ধর্ম অবিকৃত অবস্থায় সংরক্ষিত থাকে তাকে অনালোড়িত মাটি বলে। ফাউন্ডেশন ফুটিং ডিজাইন করার পূর্বে মাটির সেফ বেয়ারিং ক্যাপাসিটি জানা থাকতে হবে।

মাটির সেফ বেয়ারিং ক্যাপাসিটি যে সকল বিষয়ের উপর নির্ভর করেঃ
  • মাটির ধরন, প্রকৃতি এবং ভৌত ধর্মের উপর।
  • মাটির সেটেলম্যান্ট অবস্থার উপর।
  • মাটির নিচের ওয়াটার লেভেলের উপর।
  • বেয়ারিং ক্যাপসিটির উপর ফাউন্ডেশনের আকৃতি নির্ভর করে।
নরম মাটির বেয়ারিং ক্যাপাসিটি বাড়ানোর উপায়ঃ

প্রয়োজনে ফাউন্ডেশনের গভীরতা বাড়িয়ে। প্রয়োজনীয় মাটি খোঁড়ার পর দুরমুজ দ্বারা সংকোচন করে। প্রয়োজনে ইট, পাথরের টুকরা দুরমুজের সময় ঢুকাতে হবে। নরম মাটি সরিয়ে তা বালি দ্বারা পূর্ণ করে। প্রয়োজনে কাঠ বা কংক্রিট পাইলিং করে। ফাউন্ডেশনের তলায় অতিরিক্ত পানি থাকলে তা অপসারণ করতে হবে।

আপনি যদি আমাদের দক্ষ কনসালটেন্ট থেকে মাটি পরীক্ষা বা সয়েল টেস্ট করাতে চান তা হলে আজই যোগাযোগ করুন আমরা আপনাকে সূলভ মূল্যে সঠিক ভাবে মাটি পরীক্ষা করে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ্‌।

ভবন নির্মাণের পূর্বে মাটি পরীক্ষা করা কেন প্রয়োজনীয়? এতে কী কী ধরনের পরীক্ষা করা হয় এবং সয়েল টেস্ট করার দ্বারা আমার কি লাভ? Read More »

পাইলিং কি? কেন করা হয়? কী ভাবে করা হয়?

পাইল/পাইলিং কি? কেন করা হয়? কী ভাবে করা হয়? পাইলিং কাজ চলা অবস্থায় কি কি মালামাল প্রয়োজন?

পাইল কাকে বলে?

পাইলঃ মাটির ভার বহন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অথবা বিল্ডিং এর সমস্ত লোড মাটির গভীরে পৌঁছানোর জন্য ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাটির গভীর পর্যন্ত যে আর. সি.সি. মেম্বার তৈরি করা হয় তাকে পাইল বলে।

কী ভাবে পাইলের লে-আউট দেওয়া হয়?

বিল্ডিং এর সমস্ত গ্রিড লাইনের লে-আউট দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গেলে পাইল লে-আউট দিতে হবে। গ্রিড লাইনকে রেফারেন্স লাইন ধরতে হবে এবং এর ভিত্তিতে পাইলের পয়েন্ট দিতে হবে। লোকজনের চলাফেরা এবং রিক মেশিন সরানো-নড়ানোর কারনে পয়েন্ট গুলো যেন হারিয়ে না যায় তার জন্য পাইল পয়েন্টের সেন্টারে ১০ মিমি রডের টুকরা উলম্ব ভাবে ঢুকিয়ে দিয়ে ঢালাই করে দিতে হবে। তার পারেও মেশিনের আঘাতে পয়েন্ট ভেঙ্গে যায়, মাটির তলে পরে যায় যা পরে খুজে বের করতে অনেক ভুগান্তিতে পড়তে হয়। তাই বোরিং শুরু করার আগে সিমেন্টের খালি বস্তায় বালি ভরে পত্যেকটা পাইল পয়েন্টের উপর রাখতে হবে। এতে পাইল পয়েন্ট গুলো সহজে খুজে বের করা যাবে।

লে-আউট এর উপাদান সমূহ কি কি?

সুতা, তারকাটা, খুটি, স্টীল টেপ, ফিতা টেপ, হলুদ বা লাল এনামেল রং, হাতুরী ছোট বড়, ডিজাইন রাখার টেবিল, চেয়ার, মিস্ত্রী, হেলপার, ওয়াটার লেভেল পাইপ, ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে।

অনেক জায়গায় বিল্ডিং করার জন্য পাইলিং এর কাজ করতে দেখি কিন্তু কি এই পাইলিং? এবং কেনইবা এ পাইলিং ব্যবহার করা হয়?

পাইলিং করার কারনঃ পাইলিং হল মূলত মাটির নীচে গভীর কলাম বা পাঠাতন, যা মূলত ম্যাট বা রাফট কিংবা কম্বাইন ফাউন্ডেশন এর তলের অথবা কলামের ভিত্তির বেজ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যে সকল স্থানের মাটি সঠিক গঠনের নয় বিধায় সাধারন ফাউন্ডেশন দুর্বল হবে, সে সকল স্থানে পাইলিং করে বিল্ডিং করা হয়।

পাইলিং ব্যবহার করার কারন গুলো কী?

১) ভবনের লোড বহনকারী হিসেবে।
২) মাটি যাতে ভবনের চাপে সরে বা ক্ষয় হয়ে না যায়।
৩) ঘূর্ণয়মান মোমেন্ট এবং তীর্যক বলকে প্রতিরোধ করতে।
৪) বালি মাটির ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে।
৫) ব্রীজ, কালবার্ট, ডক, পায়ার, ও বিভিন্ন মেরিন কাঠামো তৈরীতে।
৬) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তর পৌঁছে দিতে।

পাইলিং কাজ পরিচালনা করার জন্য কি কি যন্ত্রপাতি ও মালামাল প্রয়োজন?

ক্যাকুলেটর, খাতা, কলম = সাইটে আগত সমস্ত মালামাল এবং কোন কাজে কি পরিমান পাথর বালি ব্যয় হচ্ছে তার হিসাব পুংখানুপুংখ ভাবে খাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।

পাইলিং কাজ চলা অবস্থায় কি কি মালামাল প্রয়োজন?

    • ভিটি বালি = পাইলিং কাজ চলাবস্থায় মিস্ত্রীদের পায়ের নিচের কাঁদা দুর করার জন্য ভিটি বালি ব্যবহার করা হয়।
    • ৩/৪” পাথর = পাইলিং কাজে সচরাচার সিঙ্গেল পাথর অথবা কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূতভাঙ্গা বা বোল্ডার ভাঙ্গা পাথর ব্যবহার করা হয়।
    • লোকাল বালি ও সিলেট বালি = ফাইন এ্যাগ্রিগেইটহিসাবে ১০০% সিলেট বালি বা ৫০% সিলেট বালি ও ৫০% লোকাল বালি ব্যবহার করা হয়।
    • এম. এস. রড = পাইলের খাঁচা তৈরিতে খাড়া রড কম পক্ষে ৬ টা এবং রডের ডায়া কম পক্ষে ১২ মিমি বা ১৬ মিমি ব্যবহার করতে হবে। স্পাইরাল তৈরিতে ৮ মিমি থেকে ১০ মিমি বা বড় বড় কাজে ১২ মিমি ডায়া রডও ব্যবহার করা হয়।
    • সিমেন্ট = পাইলিং কাজে সাধারন সিমেন্ট ব্যবহার করা যায় তবে মাটি ও পানির নিচে হওয়ার কারনে বা দ্রুত জমাট বদ্ধ করার জন্য OPC সিমেন্ট ব্যবহার করাই ভাল।
    • মেজারিং টেপ = সাইটে বিভিন্ন জরিপ কাজ করার জন্য মেজারমেন্ট টেপ ব্যবহার করা হয়। সাধারনত ১০ ফুট, ১৬ ফুট ও ১০০ ফুটের টেপ ব্যবহার করা হয়।
    • ওয়াটার লেভেল = রিফারেন্স পিলারের উচ্চতার সাপেক্ষে সকল পাইলের কাট-অপ লেভেল একই উচ্চতায় রাখার জন্য ওয়াটার লেভেল করা হয়। পাইলিং কাজ সঠিক ভাবে করার জন্য অবশ্যই বাড়ির পি.এল লেভেল চিহ্নিত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী পাইলের কাট অপ লেভেল ঠিক করতে হবে।
    • ভেন্ট্রোনাইট = অনেক সময় বোরিং এর চারপাশের মাটি ভেঙ্গে ক্যাভিন হয়ে যায় আর এটা প্রতিরোধ করার জন্য ভেন্ট্রোনাইট, গবর বা লালমাটি পানির সাথে গুলিয়ে পানির ঘনত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
    • ঘামবুট, হেলমেট ও সেফটি পোশাক = রিক মেশিনের রশ্মি এবং বোরিং পাইপ আটকানোর জন্য নাট-বোল্ট ব্যবহার করা হয়। বোরিং কাজ চলা অবস্থায় দেখা যায় এই নাট-বোল্ট খুলে ছিটকে দূরে গিয়ে পরে। যদি কারোর মাথায় বা শরিরের কোন অংশের উপর পরে তাহলে শরীরের সে অংশ পঙ্গু বা বিকলঙ্গ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া মৃত্যুর মত ভয়ানক দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই সাইট চলা অবস্থায় সেফটি ব্যবহার করতে হবে।
    • সুতা = পাইলিং কাজ চলাবস্থায় যদি কখনও পাইল পয়েন্টগুলো হারিয়ে যায় তাহলে গ্রীড লাইনের দুপাশে সুতা বেধে দিয়ে খুজে বের করতে হবে। (গ্রীড লাইনের পয়েন্টগুলো লে- আউট দেওয়ার সময় রং দ্বারা দাগ দিয়ে তারকাটা মেরে চিহ্ন করে রাখা হয়)।

    পাইলিং কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মেশিনঃ

    পাইলিং মেশিন/ pailing work

    পাইলিং মেশিন

    • রিক বা উইন্স মেশিন = খুব শক্তিশালী তিন বা চার স্যালেন্ডার মেশিন যার সাহায্যে চিজেল আপ-ডাউন করানোর মাধ্যমে বোরিং কাজ সম্পন্ন করা হয়। তাছাড়া বোরিং এর মধ্যে রডের খাঁচা, ট্রিমী পাইপ এবং ঢালাইয়ের মসলা নামানোসহ যাবতীয় কাজ এই মেশিনের সাহায্যে করা হয়।
    রিক বা উইন্স মেশিন

    রিক বা উইন্স মেশিন

    • এক-পায়া, দো-পায়া ও তে-পায়া = পাইলিং কাজ সাধারনত তে পায়া দ্বারাই করা হয় তবে জায়গার স্বল্পতার কারনে যেখানে তে-পায়া বসানো সম্ভাব হয় না সেখানে দো-পায়া বা এক-পায়ার দ্বারা করা হয়।
    এক-পায়া, দো-পায়া ও তে-পায়া পাইলিং সেট

    এক-পায়া, দো-পায়া ও তে-পায়া পাইলিং সেট

    • চিজেল = চিজেল এর চার কোনায় চারটা ও মাঝে একটা দেড়-দুই ফুট লম্বা মোট পাঁচটি ধারাল দাঁত থাকে এই দাঁতের গোড়ায় লোহার ব্লেড লাগানো থাকে যার ডায়া কাঙ্খিত পাইলের ডায়া থেকে ২” কম থাকে। যেমন ধরুন পাইল করতে হবে ২০” ডায়া এখন চিজেলের ডায়া দিতে হবে ১৮”। কারন চিজেল বোরিং এর মধ্যে দিয়ে আপ-ডাউন করার ফলে দু-পাশে ১” + ১” = ২” ডায়া বেড়ে যায়।
    • ক্যাসিং পাইপ = ৬-৭ ফুট বোরিং করার পর ক্যাসিং পাইপ সেন্টার বরাবর বসাতে হবে। ক্যাসিং পাইপের ডায়া পাইলের ডায়ার সমান হবে। চার-পাশের গলন মাটিকে ভেঙ্গে আসতে বাঁধা দেওয়া এবং বার বার পাইপ লাগান-খোলা, রডের জ্বালি নামানোর সুবিধা ছাড়াও ঢালাই বোরিং হোল এর মধ্যে প্রবেশ করানোর জন্য ট্রিমী পাইপ যুক্ত ফানেল ক্যাসিং পাইপের উপর বসানো হয়।
    • বোরিং পাইপ বা ড্রিলিং রড = চিজেলের সাথে বোরিং পাইপ একটার পর একটা জোড়া দিয়ে কাঙ্খিত গভীরতা পর্যন্ত বোরিং করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
    • পাম্প মেশিন = এই মেশিনের সাহায্যে পানি ২” লুস পাইপ ও বোরিং পাইপের ভেতর দিয়ে চিজেলের মাথায় অর্থাৎ বোরিং গর্তের নিচে স্ব-জোড়ে আঘাত করা হয়। ফলে গর্ভের নিচের মাটি কাদা হয়ে পানিতে ভেসে উপরে উঠে আসে।
    • ট্রিমি পাইপ = ট্রিমী পাইপ বোরিং গর্তের ভেতরের কাদাকে সরিয়ে উপরের দিকে উঠিয়ে দিয়ে ঢালাইয়ের মসলাকে বোরিং গর্তের নিচে পৌঁছায়ে সফল ভাবে ঢালাই কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করে।
    ট্রিমি পাইপ

    ট্রিমি পাইপ

    • মিক্সার মেশিন = এর দ্বারা মসলা তৈরি করা হয়। প্রথমে ৫০% বালি ও পাথর মিক্সার মেশিনের হপারের মধ্যে দিয়ে সিমেন্ট দিতে হবে এবং বাকি ৫০% বালি ও পাথর দিয়ে ২-৩ মিনিট ঘুড়ায়ে মশলা ভালভাবে মিক্সিং হয়ে গেলে ঢালতে হবে।
    • বাকেট = মিক্সার মেশিনের মসলা প্রথমে বাকেটে ঢালতে হয়।
    ক্যাসিং পাইপ ও বাকেট

    বাকেট ও ক্যাসিং পাইপ

    • ফানেল = বাকেটের মসলা ফানেলে ঢালা হয়। অর্থাৎ মিক্সার মেশিনের মসলা ফানেলে পৌছানোর জন্য বাকেট বহক হিসাবে কাজ করে।
    • পানির ড্রাম = পাইল কাস্টিং করা অবস্থায় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যেতে পারে। সে কারনেই ঢালাই কাজে ব্যবহার করার প্রয়োজনে কিছু পরিমান পানি ড্রামে মজুদ করে রাখা হয়।
    • ১ হর্স মটর-পাম্প = পাইল বোরিং ও কাস্টিংসহ অনেক কাজে পানি ব্যবহার করার হয়। বড় সাইট হলে ১টা মটর স্টোকে রাখতে হবে। সেই সাথে পানি বহনের জন্য ইন্সিত দৈর্ঘ্যের লুস পাইপ নিতে হবে।
    • মাট পাম্প = বৃষ্টি বাদলের দিন হলে সাইট থেকে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য ২ হর্সের একটা মাট পাম্প এবং সাথে ২” প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্যের লুস পাইপ নিতে হবে। এছাড়া বেজ, সেপটিক ট্যাংক, সোকয়েল ও ওয়াটার রিজার্ভারের মাটি কাটার সময় অধিক পরিমান পানির চাপকে প্রতিরোধ করার জন্য মাট পাম্প ব্যবহার করা হয়।
    • ওয়েন্ডিং মেশিন = রডের খাঁচার খাড়া রডের সাথে স্পাইরাল রড ওয়েন্ডিং করে দেওয়ার জন্য ওয়েল্ডিং মেশিন ব্যবহার করা হয়।
    • গ্রান্ডিং মেশিন = রড কাটার জন্য গ্রান্ডিং মেশিন ব্যবহার করা হয়।

    পাইলিং শুরুর পূর্বে করনীয় কী কী?

    • চিজেলের ডায়াঃ চিজেলের ডায়া পাইলের ডায়া থেকে ২” কম হতে হবে সে অনুযায়ী ঠিক আছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে।
    • বোরিং পাইপের দৈর্ঘ্যঃ বোরিং পাইপের দৈর্ঘ্য পাইলের গভীরতার সমান বা বড় আছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে।
    • টিমী পাইপের দৈর্ঘ্যঃ পাইলের দৈর্ঘ্যের চেয়ে টিমী পাইপের দৈর্ঘ্য ৬’-৯” ছোট রাখা হয় বা রডের খাঁচার দৈঘ্যেরে চেয়ে ৩” বড় রাখা হয় যেন পাইলের ক্লিয়ার কভার বজায় থাকে।
    • পাইলের পয়েন্ট সেন্টার করাঃ প্রথমে তে-পায়া দাড় করাতে হবে, তারপর চিজেল উঠিয়ে পাইলের পয়েন্ট ও চিজেলের মাঝখানের দাঁত একই লেভেলে আনতে হবে এবং চিজেলের মাঝখানের দাঁতে পানি দিয়ে দেখতে হবে। পানি পাইল পয়েন্টের ঠিক রডের মাথার উপর পড়ে কিনা। যদি রডের মাথার উপর পানি পড়ে তাহলে পাইলিং করার অনুমতি দিতে হবে।
    • বোরিং ওয়াশ করাঃ কমপক্ষে আধা ঘন্টা বোরিং ওয়াশ করতে হবে। তবে যতক্ষন পার্যন্ত ময়লা পানি বের হয় ততক্ষন পর্যন্ত ওয়াশ করতে হবে। ওয়াশ করার জন্য অবশ্যই পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে।
    • রডের খাঁচা তৈরি এবং ভাল ভাবে ওয়েন্ডিং করাঃ ড্রয়িং অনুযায়ী রডের খাঁচা তৈরি করে নিতে হবে। খাঁচার সাথে অবশ্যই কনক্রিটের তৈরি হুইলাকৃতির ব্লগ বা ১০মিমি রড দিয়ে। চেয়ার লাগাতে হবে। চেয়ারের গায়ে কস্টেপ পেচিয়ে দিতে হবে যাতে মরিচা না ধরে। খাঁচার মেইন রড এবং বাইন্ডার রড এর প্রত্যেকটা পয়েন্ট একটার পর একটা ভাল ভাবে ওয়েন্ডিং করতে হবে। অর্থাৎ একটা পয়েন্ট গুনা তার দিয়ে এবং পরের পয়েন্ট ওয়েল্ডিং করতে হবে।
    দুটি খাঁচা এক সাথে ওয়েল্ডিং করার দৃশ্য

    দুটি খাঁচা এক সাথে ওয়েল্ডিং করার দৃশ্য

    • কাস্টিং করাঃ বোরিং ওয়াশ করা হয়ে গেলে রডের খাঁচা বোরিং এর মধ্যে ঢুকাতে হবে। কাট-অফ লেভেল ঠিক রাখার জন্য খাঁচার মাথায় রডের হুক তৈরি করে ক্যাসিং পাইপের সাথে লাগিয়ে দিতে হবে। ট্রিমী পাইপ ঢুকানোর পর ঢালাইয়ের কাজ শুরু করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ট্রিমী পাইপ এর নিচের মাথা যেন ঢালাইয়ের ভেতর থেকে বের হয়ে না আসে। কারন ঢালাইয়ের ভেতর বের হয়ে আসলে ট্রিমি পাইপের মধ্যে কাদা ঢুকে যাবে ফলে পাইলিং এর কাঙ্খিত উদ্দেশ্য ব্যহত হবে।

    মিস্ত্রীরা তাদের সময় বাচানোর জন্য দুইটা ট্রিমী পাইপ এক সাথে খুলতে চায় এ ধরনের কাজ মারাত্তক ক্ষতিকর। ঢালাই শেষের দিকে আসলে ক্যাসিং পাইপ কাট-অফ লেভেল থেকে ৪-৫ ফুট উপরে উঠায়ে দিয়ে মসলা দ্বারা সম্পুর্ন ভরে দিয়ে অর্থাৎ ঢালাইয়ের মসলা চোখে দেখে ক্যাসিং পাইপ উঠিয়ে ফেলতে হবে।

    বি.দ্রঃ পাইলের মধ্যে যদি কাদা ঢোকে অথবা ফাঁকা থাকে তাহলে বিল্ডিং এর লোড পড়ার ফলে দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরুপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে লোড টেস্ট করে. নিতে হবে। অনেক সময় হুক ছুটে খাঁচা কাট-অফ লেভেলের নিচে নেমে যায়। এমন হলে মাটি কেটে পাইলের মাথা ভেঙ্গে রডের সাথে রড ওয়েন্ডিং করে পুনরায় ঢালাই করে তার উপর পাইল ক্যাপ করতে হবে।

    পাইলের মাথা ভাঙ্গার কারনঃ কাস্ট ইন সিটু পাইল এর ঢালাই এর পরে মাটি খুরে পুনরায় এর মাথা ১মিটার ভাঙ্গা হয় । মুলত দুটি কারনে পাইল এর মাথা ভাঙ্গা হয় ।
    • ক) পাইলের মাথা দুর্বল হওয়াঃ এটা বুঝতে হলে আপনাকে বুঝতে হবে পাইল কিভাবে চালাই করা হয়। পাইলের বোরিং বা গর্ত করার সময় খেয়াল করে দেখবেন পানির ব্যাবহার করা হয়। আর বোরিং পাইপে পানির ব্যবহারের কারনে নিচের মাটি আলগা হয়ে উপরে উঠে আসে ফলে গর্তের সৃস্টি হয়। এই গর্তের মধ্যে গোল রডের খাচা ঢুকিয়ে ঢালাই করা হয়।
    • ঢালাই চলা অবস্থায় ঘটে মজার একটা ঘটনাঃ গর্ভের নিচে কিছুটা কাঁদা জমে থাকে ফলে যখন ট্রিমী পাইপের মাধ্যমে কংক্রিট মসলা ঢালা হয় তখন কাদার চেয়ে কংক্রিট এর মশলা ওজনে ভাড়ী হওয়ার কারনে নিচে চলে যায় আর কাদা উপরে উঠে আসে। এভাবে আসতে আসতে সমস্ত কাদা একেবারে মাথায় উঠে আসে এবং সলিড কংক্রিট এর ঢালাই নিচে জমে শক্ত হয়ে যায় ।

    তাছাড়া টিমী পাইপ আপ-ডাউন করানোর ফলে মসলার ভেতরে কিছুটা কাদা ঢুকে যায় এবং ঢালাইয়ের উপরের অংশ থেকে সিমেন্ট ও বালির মসলা আলাদা হয়ে উপরে উঠে আসে। তাই মাথায় উঠে আসা কিছুটা কাদা কিছুটা কংক্রিট এর মিশ্রণ খুব একটা শক্তিশালি হয় না। সে কারনেই এই উপরের অংশটা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

    খ) পাইল ক্যাপের রড বাধাঃ পাইল ক্যাপ তৈরি করা অর্থাৎ পাইলের মাথার সাথে পাইল ক্যাপ বা কলামের গোড়া শক্ত ভাবে আটকানোর জন্য পাইলের মাথার কিছু অংশ ভেঙ্গে রড বের করা হয়। পাইলের মাথার এই রডের সাথে পাইল ক্যাপ বা কলামের রডকে দৃঢ়ভাবে আটকানোর জন্য পাইল এর মাথার রডের প্রয়োজন হয়। একটি কলাম সাধারনত ১টি থেকে ১০ টিরও অধিক পাইলের সমন্বয়ে দারিয়ে থাকে। আর এ পাইলগুলোকে একটা কলামের সাথে বেধে রাখে পাইল ক্যাপ। এই ক্যাপ বাধার জন্য পাইলের মাথা ভাঙ্গা খুবই জরুরি।

    ইনসাফ বিল্ডিং ডিজাইন এন্ড কনসালটেন্ট লিমিটেড যেকোনো পাইলের কাজ করে থাকে তাই পাইলিং এর যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম থেকে। কল করুন ০১৯৫৮১৪০৭৭০/০১৯৫৮-১৪০৭৭৪ নাম্বারে বা যোগাযোগ লিখার উপর ক্লিক করুন।

    পাইল/পাইলিং কি? কেন করা হয়? কী ভাবে করা হয়? পাইলিং কাজ চলা অবস্থায় কি কি মালামাল প্রয়োজন? Read More »

    Digital Land Survey বা ভূমি জরিপ

    Digital Land Survey বা ভূমি জরিপ করে বাড়ি নির্মাণ ব্যয় কমানো সম্ভব কিনা?

    মাত্র ১ মিনিটেই জানতে পারবেন আপনি কিভাবে Digital Land Survey / ভূমি জরিপ করে বাড়ি নির্মাণ ব্যয় কমাবেন। অবিশ্বাস হলেও সত্যি যে আপনি Digital Survey করে আপনার স্বপ্নের ভবনটির নির্মাণ খরচ কমিয়ে নিতে পারেন। ভবন নির্মাণের স্থানটি আমাদের সাধারণ চোখে আয়তাকার মনে হলেও Digital Land Survey মেশিনের চোখে সমান থাকে না। কারন Degital Land Survey মেশিনটি নিখুঁত ফলাফল নির্ণয় করে থাকে যা আমাদের সাধারণ চোখে বোঝা মুশকিল। আপনার জমিটি যত আঁকাবাঁকা হোক না কেন ভূমি জরিপের মাধ্যেমে আপনি জমিটির প্রতি ইঞ্চির সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন। ভবন নির্মাণের জন্য আপনি যখন Architect Engineer এর কাছে যাবেন তখন সর্বপ্রথম আপনাকে প্রশ্ন করবে Digital Land Survey এবং Soil Test করিয়েছেন কিনা?

    👉আপনি কি জানেন Digital Survey না করে বিল্ডিং নির্মাণ করতে গিয়ে যেই সমস্যা গুলো আপনাকে ফেস করতে হবে?

    👉 ম্যানুয়াল Survey করে আপনি সঠিক মাপ জানতে পারবেন না।

    👉 আপনার আঁকাবাঁকা জমিটি ডিজিটাল সার্ভে ছাড়া ডিজাইন করলে ভবনের সাইট দিয়ে অনেক জায়গা ছেড়ে প্ল্যান ডিজাইন করতে হবে। এতে করে আপনার ভবনের আয়তন কমে যাবে।

    👉 প্ল্যান অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণে বাঁধা। মানে হল Architectural Plan বা Working Plan অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে মিস্ত্রীরা বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হবে। এতে আপনার সময় ও নির্মাণ খরচ দুটোই বাড়বে ইত্যাদি।

    তাই বারবার জমি মাপের চেয়ে খরচ একটু বেশি হলেও Goverment সনদপ্রাপ্ত Digital Land Surveyor দিয়ে একবার জমিম্যাপে জমির স্কেচ ও পেন্টাগ্রাফ নকশা বুঝে নিন আমাদের কাছ থেকে।

    Digital Land Survey বা ভূমি জরিপ করে বাড়ি নির্মাণ ব্যয় কমানো সম্ভব কিনা? Read More »

    Architectrural Plan Design

    ইঞ্জিনিয়ার বিল্ডিং ডিজাইনের প্ল্যান করার সময় কোন বিষয় গুলো বিবেচনা করবে?

    একটি আধুনিক ও আকর্ষণীয় বিল্ডিং ডিজাইনের প্ল্যান ক্লাইন্টের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ারকে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়, কিছু মূল বিষয় তুলে ধরা হলঃ

    👉 Functionality ডিজাইন অর্থাৎ বাড়ি তৈরি করার প্ল্যানটি কার্যকরী ভাবে তৈরি করা। ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন করা, প্রয়োজনীয় কক্ষের সংখ্যা, তাদের আকার এবং তাদের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বিবেচনা করে বাড়ির মধ্যে চলাচলের প্রবাহ সম্পর্কে চিন্তা করে এবং কীভাবে স্থানগুলি ব্যবহার করা হবে তা বিবেচনা করে ডিজাইন করা।

    👉 লাইফস্টাইল এবং পছন্দঃ প্রতিটি মানুষের জীবনধারা এবং পছন্দ ভিন্ন রকম, তাই এক জনের সাথে অন্য জনের চাহিদা না মিলাটাই স্বাভাবিক। অনেক সময় দেখা যায় পিতা মহোদয় এক ডিজাইন পছন্দ করে অন্য দিকে সন্তান তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আরও আধুনিক ডিজাইন করিয়ে নেয়, তাই ইঞ্জিনিয়ারকে ক্লাইন্টের দৈনন্দিন রুটিন, শখ এবং কার্যকলাপ বিবেচনা করে, তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করতে হয়। একটি আরামদায়ক জীবনযাপনের পরিবেশ তৈরি করতে অবশ্যই এক্সপার্ট ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন।

    👉 লে-আউটঃ বাড়ির সামগ্রিক আকার নির্ধারণ করা। লে-আউট এর মাধ্যমে রুম, জানালা, দরজা ইত্যাদি কোথায় কি পরিমাণ ও কতগুলো লাগবে ইত্যাদি বিবেচনা করে নির্দিষ্ট সাইটের সীমাবদ্ধতা প্রণয়ন করা হয় অর্থাৎ ভূমির প্রতি ইঞ্চির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। যদি দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া নামকাওয়াস্তে ডিজাইন করিয়ে নেন তাহলে রুম, দরজা, জানালা সবকিছু পাবেন ঠিকই কিন্তু কোনটা কি সাইজ করলে আপনার জন্য ফ্লেক্সিবল হবে, আপনার চাহিদা ও বাজেট দুইটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পছন্দনীয় ও সময়োপযোগী সেই দিক বিবেচনা করবে না।

    👉 প্রাকৃতিক আলো বাতাসঃ ভবনটির প্ল্যান ডিজাইন করার সময় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও বাতাস চলাচলের সু-ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সঠিকভাবে অবস্থান করা জানালা, স্কাইলাইট এবং অন্যান্য খোলা থাকার জায়গাগুলি নিয়েও আপানাকে ভাবতে হবে।

    👉 স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের অখণ্ডতাঃ ইঞ্জিনিয়ারকে অব্যশই নিশ্চিত করতে হবে নকশাটি কাঠামোগতভাবে মজবুত এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা মান পূরণ করে। বিভিন্ন লোড এবং পরিবেশগত অবস্থা সহ্য করতে পারে এমন একটি শক্তিশালী কাঠামো তৈরী করতে হবে।

    👉 বাজেটঃ ডিজাইন প্রক্রিয়া জুড়ে ক্লাইন্টের বাজেট এবং চাহিদা মাথায় রাখতে হবে। তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে তাদের চাহিদা পূরণ করা এমন একটি নকশা বা প্ল্যান তৈরি করার চেষ্টা করা।

    ইঞ্জিনিয়ার বিল্ডিং ডিজাইনের প্ল্যান করার সময় কোন বিষয় গুলো বিবেচনা করবে? Read More »

    ভূকম্পন প্রতিরোধী ডিজাইনের নীতিসমূহ

    ভূকম্পন প্রতিরোধী ডিজাইনের নীতিসমূহ কি?

    ভূমিকম্পন মানেই আতঙ্ক। কেনইবা হব না ! কিছুদিন আগে তুরস্কের ভূমিকম্পন আমাদের সকলের দেমাককে নাড়া দিয়েছে। আমরা যদি ভূকম্পন প্রতিরোধী ডিজাইনের নীতিসমূহ লক্ষ্য করি তা হলে আশা করি ক্ষতির সংখ্যা কমানো সম্ভব। আজকে আলোচনা করব ভূকম্পন প্রতিরোধী ডিজাইনের নীতিসমূহ নিয়ে।

    ১) ভূকম্পন ক্রিয়া প্রয়োগের জন্য কাঠামোর উপাংশসমূহ পর্যন্ত শক্তি এবং নমনীয়তা সম্পন্ন হবে।
    ২) কাঠামো সরল আকৃতির হবে।
    ৩) কাঠামোর বিকৃতি সীমিত হবে।
    ৪) কাঠামোর উপাংশসমূহ অনুভূমিক ভূকম্পিয় ক্রিয়াকে এমনভাবে বিন্যাস করতে হবে, যেন টরশনাল প্রতিক্রিয়া সর্বনিম্ন হয়।
    ৫) কনস্ট্রাকশন সাইটের বৈশিষ্ট্য নিরূপণ করা।
    ৬) যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে কাঠামোর উপাংশসমূহে বিন্যস্ত করতে হবে।

    আপনি যদি এই নীতি সমূহ ডিজাইন করার সময় ধরে রাখতে পারেন তা হলে আশা করি ভুমিকম্পনের ক্ষতির সংখ্যা কমানো সম্ভব। ইনসাফ বিল্ডিং ডিজাইন অ্যান্ড কনসালটেন্ট লিমিটেড ভূমিকম্পন সহনশীল বিল্ডিং ডিজাইনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    ভূকম্পন প্রতিরোধী ডিজাইনের নীতিসমূহ কি? Read More »

    পাইল ভিত্তি ও উদ্দেশ্যে প্রদান করা হল

    পাইল ভিত্তি কাকে বলে? কি কি উদ্দেশ্যে পাইল ভিত্তি প্রদান করাহয়?

    বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পাইলিং ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই আপনাদের সুবিধার্থে পাইল ভিত্তি কাকে বলে? কি কি উদ্দেশ্যে পাইল ভিত্তি প্রদান করাহয় ? এই বিষয় গুলো তুলে ধরলাম।

    পাইল ভিত্তি কাকে বলে?

    পাইল ভিত্তি (Pile Foundation): স্টিল, কংক্রিট অথবা কাঠের সরু (Slender) স্ট্রাকচারাল মেম্বারকে পাইল বলে । পাইলকে মাটির মধ্যে আঘাত করে বসানো হয় অথবা মাটির মধ্যে গর্ত খনন করে স্বস্থানে কংক্রিট দ্বারা পূর্ণ করা হয়। কাঠামোর লোড স্থানান্তর করাই হলো পাইলের প্রধান কাজ।

    যেখানে স্প্রেড ফুটিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা পাওয়া না যায়, সেখানে পাইল ভিত্তি প্রদান করা হয়। অর্থাৎ, প্রয়োজনীয় ভারবহন ক্ষমতাসম্পন্ন স্তরের গভীরতা বেশি হলে অথবা ভূপৃষ্ঠ অত্যধিক ঢালবিশিষ্ট হলে সেখানে পাইল ভিত্তি প্রদান করা হয়। সংকোচনশীল মাটি এবং ভরাটকৃত মাটির ক্ষেত্রে, যে-কোনো ধরনের কাঠামোর জন্য পাইল ভিত্তি নিরাপদ। পানি সংলগ্ন কাঠামো নির্মাণ করার জন্য পাইল ব্যবহৃত হয়।

    নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বা উদ্দেশ্যে পাইল ভিত্তি ব্যবহার করা হয়:

    ১। ভূপৃষ্ঠের নিচের স্তরে মাটি অধিক সংকোচনশীল এবং দুর্বল হলে, অর্থাৎ ভারবহন ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে কাঠামোকে সাপোর্ট প্রদানে অসমর্থ হলে।
    ২। যদি অগভীর ভিত্তি নির্মাণে কাঠামোর লোড অসমভাবে পতিত হওয়ার কারণে বসনও অসম হয়, তবে পাইল ভিত্তি ব্যবহার করে বসন গ্রহণযোগ্য পর্যাযে আনয়নের জন্য ।
    ৩। গভীর পানি অতিক্রম করে শক্ত স্তরে কাঠামোর লাজে স্থানান্তর করতে পাইল ভিত্তির প্রয়োজন।
    ৫ । মাটিধারক কাঠামো এবং উচ্চ কাঠামোর (Tall structure) ক্ষেত্রে ভূকম্পন এবং ঝড়ো বাতাসজনিত কারণে সৃষ্ট অনুভূমিক বলসহ খাড়া লোডকে সাপোর্ট দিতে।
    ৫। সমুদ্র উপকূলে অথবা নদীর তীরের কাঠামোতে পানি Scouring (বেগে ধাবমান) ক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকলে ।
    ৬। ট্রান্সমিশন টাওয়ার, ডক, পিয়ার এবং অন্যান্য মেরিন স্ট্রাকচার নির্মাণ করতে।
    ৭। সাব-সয়েলের পানি পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে মাটি সংকোচন ও প্রসারণ প্রকৃতির হলে পাইলের মাধ্যমে লোডকে কার্যকরী জোনে (Active zone) স্থানান্তর করা হয়।
    ৮। বালি মাটিকে দৃঢ় এবং ভারবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পাইল ভিত্তি ব্যবহার করা হয়।

    আলহামদুলিল্লাহ্‌ আশা করি আপনারা সহজেই বুজতে পারছেন। আমরা দেশব্যাপী পাইলিং সেবা দিয়ে যাচ্ছি, যেকোনো পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

    পাইল ভিত্তি কাকে বলে? কি কি উদ্দেশ্যে পাইল ভিত্তি প্রদান করাহয়? Read More »

    লে-আউট দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

    জেনে নিন Lay-out দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি।

    বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য Lay-out দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি জানা থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি সঠিক বিল্ডিং Lay-out একটি প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাফল্য নিশ্চিত করে, কিন্তু একটি অসংগঠিত বিন্যাস নির্মাণ কাজে ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আপনার নির্মাণ কাজে বিল্ডিং Lay-out অনুসরণ করা আপনাকে ব্যয়বহুল ভুল থেকে বাঁচায়। নিম্নে Lay-out দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি বর্ণনা করা হলঃ

    ১) বাড়ির সামনের দেওয়ালের মধ্যরেখা জমির সীমানা হতে কত দূরে তা নির্ণয় করতে হবে। তারপর ফিতা দিয়ে মেপে সেই মাপকে খুঁটি স্থাপন করে চিহ্নিত করতে হবে।
    ২) খুঁটি দুটিকে সুতলি দ্বারা সংযুক্ত করে চুন দিয়ে ভূমিতে দাগ কাটতে হবে।
    ৩) দাগের আড়াআড়ি বা সমকোণে দেওয়ালের মধ্যরেখা চিহ্নিত করতে হবে। প্রত্যেক কোণায় খুঁটি পুতে ফেলতে হবে।
    ৪) নিঁখুতভাবে কাজ করার জন্য খুঁটির মাথা পেরেক বসিয়ে দেয়া। এই ভাবে জমির উপর বাড়ির প্ল্যান অনুযায়ী মধ্যরেখা টানার কাজ শেষ করতে হবে।

    লে-আউট করার সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?

    লে-আউট করার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত:
    ১) মাপ নেয়ার সময় স্টীল ব্যবহার করলে ভুলভ্রান্তি এড়ানো সম্ভব হয়।
    ২) বৃহৎ প্রজেক্টের জন্য রেফারেন্স পিলারগুলো গাঁথুনী করে দেয়া যেতে পারে। লে-আউট যেন কোণাকুনি বা আঁকাবাঁকা না হয়।
    ৪) প্ল্যানের সাথে লে-আউটের কোন প্রকার অসামঞ্জস্যতা থাকতে পারবেনা।
    ৫) লে-আউট করার পর সমস্ত কাজকে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

    বাড়ি নির্মাণে যেকোনো পরামর্শ নিতে আমাদের সাথেই থাকুন।

    জেনে নিন Lay-out দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি। Read More »

    spt নির্ণয়

    কিভাবে আদর্শ পেনিট্রেশন টেস্ট SPT নির্ণয় করা হয়?

    Standard Penetration
    Test (SPT নির্ণয়) আদর্শ পেনিট্রেশন পরীক্ষঃ

    SPT নির্ণয় বা আদর্শ পেনিট্রেশন পরীক্ষা একটি ইন-সিটু পরীক্ষা। যেসব সংসক্তিহীন মৃত্তিকার (যেমন- বালি মাটি) স্যাম্পল নেয়া কষ্টকর, ঐ সকল ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা বিশেষ উপযোগী। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও
    মালামালের মধ্যে বালতি, কোদাল, শাবল, ড্রিল রড, স্প্লিট ব্যারেল, 63.5 কেজি ওজনের হাতুড়ি ইত্যাদির প্রয়োজন।

    কাজ করার নিয়মঃ

    ১) প্রথমে মাটিতে ৫৫মিমি থেকে ১৫০মিমি ব্যাসবিশিষ্ট একটি গর্ত খনন করতে হবে।
    ২) ড্রিল এর সাথে স্পিট ব্যারেল নমুনা সংগ্রাহকটি যুক্ত করতে হবে। অতঃপর একে গর্তের নিচের প্রান্তে স্থাপন করতে হবে।
    ৩) ৬৫ কেজি ওজনের হাতুড়ি দিয়ে ৭৫সেমি উপর হতে মিনিটে ৩০ বার ফেলতে হবে।
    ৪) ১৫০মিমি অন্তর অন্তর গভীরতায় পৌঁছাতে আঘাতের সংখ্যা হিসেব করতে হবে।
    ৫) ১ম ১৫০মিমি এর জন্য আঘাত সংখ্যা বাদ দিয়ে পরবর্তী ৩০০মিমি গভীরতার জন্য প্রাপ্ত আঘাত হিসাব করতে হয়। এ সংখ্যাই পেনিট্রেশন (N) সংখ্যা বা পেনিট্রেশন রেজিস্ট্যান্স।

    আমরা ইনসাফ বিল্ডিং ডিজাইন অ্যান্ড কনসালটেন্ট লিমিটেড দেশের যেকোনো স্থানে Soil Test বা মাটি পরীক্ষা করে থাকি। আপনাদের প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

    কিভাবে আদর্শ পেনিট্রেশন টেস্ট SPT নির্ণয় করা হয়? Read More »

    Scroll to Top